Sagor Al Helal

aa2
  • সাম্প্রতিক লেখা

    Do other job

     



    ঠাস করে চড় বসিয়ে দিলো গালের উপর। আমিও হতবাক। অনেকক্ষণ ধরে ওদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া লক্ষ্য করছিলা। শীর্ণ দেহের মেয়েটা ভীষণ রকমের তেজি ও জেদি মনে হলো। চড় খেয়ে ছেলেটা যেনো বেকুব হয়ে গেছে। কোন আওয়াজ করছে না। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে।

    চড়টা মারতে পেরে মেয়েটার জ্বালা যেনো একটু কমেছে। মুখে হাসি আনার চেষ্টা করছে। সে হাসিতে ছেলেটা গলতে চাচ্ছে না মনে হলো। সে নির্বাক চেয়েই আছে। মেয়েটা সরছে না ছেলেটার পাশ থেকে। আমি ভেবেছিলাম চড়টা মেরে ঝেড়ে দৌড় দেবে সে। কারণ ছেলেটার স্বাস্থ্য শক্তি যেমন, তাতে যদি সে একবার মেয়েটাকে ধরে বসে তাহলে আর ছুটতে পারবে না।

    ভালোবাসাটাসা যাই থাক একটা মেয়ের হাতে চড় খাওয়ার পর তাকে আস্ত ছেড়ে দেবে এমন ছেলে সমাজে আজই প্রথম দেখলাম আমি। হাতের কাজ অসমাপ্ত রেখে পরিসমাপ্তি দেখার জন্য আড়চোখে সমস্ত বিষয়টা দেখছিলাম আমি।

    হঠাৎ ছেলেটা মুখ ফিরিয়ে চলে যেতে উদ্যত হলো। লক্ষ্য করলাম, মেয়েটা দ্রুত বেগে এসে ছেলেটার পায়ের উপর পাঁড়া দিয়ে আবার আগের জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো। ছেলেটা কি করবে কিছু বুঝে উঠতে পারছে না যেনো। এদিক ওদিক তাকায়। কেউ দেখে ফেলছে নাতো ! হাত দিয়ে চড় খাওয়া জায়গাটা স্পর্শ করে। তা দেখে মেয়েটা অচেনা রকমের শব্দ করে ওঠে। এ রকম আওয়াজ আমিও শুনিনি কখনো।

    আমার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গার উপক্রম। কোনো কাজেও মন বসছে না। আবার তাদের ঝগড়া পরিসমাপ্তিও না দেখে শান্তি লাগছে না। এক সময় দেখি দুজন প্যারালাল একই দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। মারামারি কি তাহলে থেমে গেলো ? কেউ কাউকে সরিও বললো না ! তাজ্জব !

    মিনিট দুই এভাবেই সামনে পেছনে হাঁটলো দুজন। তারপর দুরত্ব যেনো একটু কমলো। দালানের বীমের ওপাশে যখন চলে গেলো ওরা, আমার মনে হলো বেশ ঘণিষ্ঠ হয়েছে। এপাশ থেকে দেখা শুধু যাচ্ছিলো দুটি লেজ পরস্পরে জড়িয়ে রয়েছে, যা ঐ ছেলে ও মেয়ে টিকটিকির ছিলো।

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad

    8-Copy