Sagor Al Helal

aa2
  • সাম্প্রতিক লেখা

    চলো পদ্মায় যাই

    সাগর আল হেলাল

    ==============

    পদ্মায় চলো আঁজলার জলে কুলকুচি করে ফেলি ডাঙার ঘাস সবুজে। একজন, দুইজন দশজন অযুত নিযুত জ্যামিতিক হারে। পৃথিবীর সবুজ ঘাস-মাটি দেখবে মানুষ জীবনের অসহায়ত্ব, ভেজা নীলাকাশ, কাঁন্না জড়ানো অবেলার বাতাস যায় আর ফিরে ফিরে চায়; ঐ দ্যাখো, এক ফোঁটা জল ছুটেছিল বাতাসের ঠোঁট থেকে- ছোঁ দিয়ে তা খেয়ে নিলো বাতাস নিজেই! এ ঘটনা তুচ্ছ মনে পারে। কিন্তু সামান্য- আহম্মকি নমরুদের অগ্নিকুণ্ড নেভাতে প্রসাব করেছিলো ব্যাঙ ! আদৌ কি সম্ভব ছিলো সেটি ? কেন তাহলে অমন আজগুবি দৃষ্টান্ত?

    ব্যাঙের প্রস্রাবে ভাঙে না এবাদতের প্রতীজ্ঞা; এই দ্যাখো, শরীরের সমস্ত ক্লিষ্টতা, দীন-দারিদ্রের সমাপিত সন্ধ্যে অবসাদহীন ভেসে ওঠে সাহসী ললাটে, তাই ওরা ভয় পায়, ভয় পেয়ে কপাল ভাঙতে চায় অনাদিকাল। চাল-চুলোহীন বাঙ্গাল জীবন ওরা ভয় পায়। তবুও, ওরা ফিরে আসে- বারবার ফিরে আসে। আঙ্গরপোতা দহগ্রাম তিন বিঘা করিডোরের নামে ফিরে আসে আঙ্গরপোতার সবুজেঅ

    তিন বিঘা করিডোর দিয়ে ইস্কুলে যায় শিশু ইজিবর, কিশোরী অমৃতা পাল দহগ্রামের মেলায় ঘোরে চড়ক গাছে। এবার দক্ষিণে ! তুমি জানো, সবখানে লাভবান তুমি। তোমার অর্থমন্ত্রী, অর্থউপদেষ্ঠা, ক্যালকুলেটর, কম্পিউটার মেসেজ করে- সব খানে লাভবান তুমি। তুমি কি জানো, তোমার মেরুদণ্ডের কোন জোড়া থেকে গলিত পদার্থ দিয়ে তোমাকে বানানো হয়েছিলো?

    এ কথা তুমি জানতে চাইবে না। এভাবেই একজন ধর্ষক বলে না তার গন্তব্য ! একটি দৈত্য যখন পাশবিক ক্ষমতায় পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দলিত-মথিত করে’ পাহাড়সমূহ তখন আছড়ে পড়ে ভুমিতে। গাঙ্গে বান আসে, পাখিরা নীড় ছেড়ে ওড়া-ওড়ি করে। তার চেয়ে ভয়ঙ্কর কিছু হলে চেরেনোবিল অথবা হিরোসীমা নাগাসাকি সাক্ষ্য দেয় মানচিত্রের পাতায়।

    কি ভাবছো তুমি, এইখান থেকেই হবে পতন তোমার। যেই অবয়বে ডুবে ভেসেছিলে, সেই অবয়বেই ডুববে তুমি। চলো পদ্মায় যাই, ওজুতে বসি। আঁজলার জলে কুলকুচি করে ফেলি ডাঙ্গার সবুজ ঘাসে। আমার দাদাজানকে দেখেছি- ওজুর অবশিষ্ট জল ঢক্ ঢক্ করে পাঠাতেন পাকস্থলীতে। ওজুর পানি খাওয়া নিষিদ্ধ নয় !

    -
    সাগর আল হেলাল
    ৫.৪.২০২২



    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad

    8-Copy