Sagor Al Helal

aa2
  • সাম্প্রতিক লেখা

    পরিবার

    - সাগর আল হেলাল

    ================

    তিন সদস্যের পরিবার। স্বামী-স্ত্রী ও কন্যা রাবিতা। স্বল্প আয়, এক রুমের বাসা নিয়ে থাকে পেয়ারাবাগে। রাবিতা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। চোখের পাঁপড়িতে রেণু ফুটবার সময় এসে গেলো। বেশ সুখি পরিবার বলা যায়। অল্প আয়ে চললেও স্বচ্ছন্দ বলা যায়। স্বামী স্ত্রী দু’জনেই কর্মজীবি। বন্ধের দিন ব্যতীত দুপুর বেলা ঘরটা একা হয়ে পড়ে।

    নূরজাহানের অফিস বেলা তিনটে পর্যন্ত। স্বামী ও সন্তান ঘুমিয়ে থাকতেই, তাদের জন্য নাস্তা বানিয়ে টেবিলে সাজিয়ে রেখে চলে যান তিনি সকাল সাতটার মধ্যেই। এরপর রাবিতা ও সবশেষে আকরাম সাহেব। ওনার অফিস সকাল দশটা থেকে সন্ধ্যে সাতটা। এ হলো সকালের রুটিন।

    দুপুর তিনটায় ঘরে ফেরেন চারুকলা নদী। এসেই টিভি ছেড়ে টিউন করেন এমটিভি। ড্রেসিং টেবিল সাজানোয় ব্যস্ত থাকেন প্রায় একঘন্টা। লাল-নীল-বেগুণী হরেক রকমের টিপ পরা হয় এই সময়ে। গুনগুনের বাসা ভাঙেনা কমলা অধরে। চারটায় ফিরবে কন্যা। তার জন্য আদরের ডালা সাজান এরই ফাঁকে।

    চারটায় ঘরে আসে টিন এজার বান্ধবী। একসাথে নাস্তা করে গলাগলি করে বিছানায় ডুয়েট গানের প্রাকটিস। ওরা পরস্পরে নাকে নাক ঘসে। পরস্পরের আলিঙ্গন শক্ত থেকে ঢিলে হয়ে মায়ের নাক ডাকার শব্দ।

    সন্ধ্যায় রাবিতার কোচিং ক্লাস। মাকে রান্নার কাজে রেখে ড্রিম গার্ল হোম টিউটর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া কায়েস স্যারের টিউটোরিয়াল সেন্টারে রওনা হয়।

    হেমামালিনী রান্না ঘরে থাকতে থাকতেই বাসায় আসেন ধর্মেন্দ্র। বাসন্তীর টাঙ্গা ধরে টানাটানি করে। ম’সি, বাসন্তী আগার সাদি কে লিয়ে রাজি না হুয়ি, তো ম্যায় গির যাউঙ্গা। চখাচখির প্রতীক্ষার অবসান হয়। বসন্ত পাখিরাও ঘরে ফিরে যায়। কলিং বেল বেজে ওঠে। ও কিত্নে থে রে কালিয়া। হেসে ওঠে আকরাম সাহেব ও নূরজাহান।

    দু’জনে একসাথে মেয়েকে আলিঙ্গন করেন। মেয়ের কপালে চুমু খান। সত্যি, এমন না হলে কি আর তা পরিবার !

    -

    সাগর আল হেলাল

    ০৫.০৪.২০২২

    ==============

    No comments

    Post Top Ad

    Post Bottom Ad

    8-Copy